সংবাদ শিরোনাম :
গজারিয়া পূর্ব শত্রুতার জেরে বাউল গানের আসরে হামলা,একজনের কব্জি কর্তনসহ আহত ৪

গজারিয়া পূর্ব শত্রুতার জেরে বাউল গানের আসরে হামলা,একজনের কব্জি কর্তনসহ আহত ৪

ওসমান গনি
স্টাফ রিপোর্টার
মুন্সীগঞ্জে গজারিয়া উপজেলা চৌদ্দকাউনিয়া গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে বাউল গানের আসরে প্রতিপক্ষে হামলায় একজনের হাতের কব্জি বিচ্ছিন্নসহ ৪ জন আহত হওয়ায় খবর পাওয়া গেছে। আহত ৪ জনকেই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা পাঠানো হয়েছে, তাদের মধ্যে ২জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আহতরা হলেন,চৌদ্দকাউনিয়া গ্রামের মৃত গর্জন আলী সরকারের ছেলে নুরুজ্জামাল(জামাল)(৬৫), মুক্তার হোসেন (৩৭) ও তাদের চাচাতো ভাই সাকিব(২৩), নাতি হামিম (১৪)।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, সীমানা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গজারিয়া উপজেলা বাউশিয়া ইউনিয়নের চৌদ্দকাউনিয়া গ্রামের ফজলুল করিমের সাথে প্রতিবেশী বাসেত মিয়ার বিরোধ চলছিল। এসব বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ গত রজমান মাসে ফজলুল করিমের ভাতিজা সজিব চাইনিজ কুড়াল দিয়ে বাসেত মিয়াকে কুপিয়ে জখম করে।আহত বাসেতকে হাসপাতালে নিয়ে যায় আরেক প্রতিবেশী নুরুজ্জামাল। এই ঘটনায় নুরুজ্জামালের উপর ক্ষিপ্ত ছিল ফজলুল করিম ও তার আত্মীয়-স্বজনরা। ওই ঘটনার জের ধরে শনিবার (০৫ অক্টোবর) দিবাগত রাত নয়টার দিকে বাউল গানের আসরে প্রতিপক্ষের সজিব,জাহাঙ্গীর, ফজলুল করিম, নান্নু, বাবু, রবিউল আউয়াল, হাসান-সহ আরো কয়েকজন বগি দা, রামদা, ছুরি নিয়া হামলা করে নুরুজ্জামানের উপর। এ সময় তারা তাকে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে আহত করে। তাকে বাঁচাতে তার ছোট ভাই মুক্তার এবং পরিবারের লোকজন এগিয়ে আসলে তাদেরকেও কুপিয়ে জখম করা হয়। হামলাকারীরা নুরুজ্জামালের এক হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। এসময় তাদের আত্মচিৎকারে আশেপাশে লোকজন ছুটে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হওয়া নুরুজ্জামাল বলেন, ‘আমি ঝগড়ার মধ্যে ছিলাম না আর এ ব্যাপারে আমি কিছু জানিও না। সন্ত্রাসীরা শুধু শুধু উপর হামলা চালিয়েছে। আমি শুধু একজন আহত মানুষকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম এটা ছিল আমার অপরাধ। সন্ত্রাসী সজীব বগি দা দিয়ে কুপ দিয়ে আমার হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে’।

গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, তাদের হাসপাতালে আগত ৩ জনকেই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে নুরুজ্জামান ও মুক্তার হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের মধ্যে নুরুজ্জামালের এক হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। অন্যদিকে মুক্তার হোসেনের গায়ের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। আহত অপরজন হামিমকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

বিষয়টা সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে হামলাকারীরা সবাই পলাতক।এখনো পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Facebook Comments Box





© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ দৈনিক নাগরিক বাণী